বিরলে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক মতিউর রহমানের জমিতে বিএডিসির আলু বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে আগাম আলু রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে বিরলের পুরিয়া গ্রামে বীজ রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কৃষি বীজ হিমাগার (আলু বীজ), নশিপুর, দিনাজপুরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু জাফর মোহাম্মদ নেয়ামতউল্লাহ।
বীজ রোপণকালে কৃষিবিদ আবু জাফর মোহাম্মদ নেয়ামতউল্লাহ জানান, আমাদের এই মাঠে আগে ব্রি ধান-৭৫ ছিল। আমরা ব্রি ধান-৭৫ কেটে আজকে আলু বীজ রোপণ করতে পেরেছি শুধুমাত্র স্বল্পসময়ের আমন ধান রোপণের কারণে। আমরা বিএডিসির আলু-১ (সানশাইন) রোপণের কার্যক্রম চলছে। এখানে ১৫ একর জমিতে বীজ উৎপাদনের কর্মসূচি রয়েছে। এবার দিনাজপুরে আমার হিমাগারের আওতায় প্রায় ৯০০ একর জমিতে আলু বীজ রোপণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এবার আমরা এত দ্রুত এখানে আলু বীজ রোপণ করতে পারছি শুধুমাত্র স্বল্প সময়ের আমন ধান রোপণের কারণে। আমার বিশ্বাস আমরা দ্রুত আলু উৎপাদন করে ইরি-বোরো ধান আবাদ করতে পারব। দো-ফসলি জমিগুলোকে আমরা এভাবে তিন ফসলি জমিতে পরিণত করতে পেরেছি।
আমার বিশ্বাস আমরা যদি এভাবে স্বল্প সময়ের আমন ধান চাষাবাদ করি, আবার আলু উৎপাদন করি এবং ইরি-বোরো চাষাবাদ করতে পারি তাহলে দেশের উৎপাদন বেড়ে যাবে, অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হবে। কৃষক মতিউর রহমান জানান, বিএডিসি থেকে বীজ সংগ্রহ করেছি আবার বিএডিসি আমাদের কাছে থেকে এটা কিনে নিবে।
এ বছর শ্রমিক, দ্রব্যমূল্য, অন্য উপাদানের মূল্য প্রায় ৩০ ভাগ বেশি ব্যয় হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবার উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আলুর দাম যেন সঠিকভাবে নির্ধারণ করা হয় এই আহ্বান জানাচ্ছি। আমি ব্রি ধান-৭৫ আবাদ করেছিলাম। ১১০ দিনে এই ধান কাটা যায়।
তাই অন্য জাতের ১৩৫-১৪০ দিনের ধান আবাদ না করে এই ব্রি ধান-৭৫ আবাদ করলে আমরা সহজেই তিনটি ফসল আবাদ করতে পারি। এ ধান কাটার পর আবার সুন্দরভাবে আলু আবাদ করতে পারব। আলুটা রোপণের ৭৫ দিন পর পাতা তুলে রাখি আর ১০ দিন পর আলু তুলে বীজের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা হয়। আলু আবাদ করার কারণে চার ভাগের এক ভাগ রাসায়নিক সার দিয়ে পরবর্তী একই জমিতে ইরি-বোরো ধান আবাদ করা যায়।
টিএইচ